
মোঃ জোনায়েদ হোসেন জুয়েল, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ করিমগঞ্জ ও তাড়াইলের রাজনৈতিক অঙ্গনে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় ও জনপ্রিয় একজন নেতা অ্যাডভোকেট জালাল মোঃ গাউস। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর রাজনীতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত হয়ে দলীয় কর্মকাণ্ডে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছেন।
১৯৭৭ সালে মাত্র অষ্টম শ্রেণির ছাত্র থাকা অবস্থায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের উপস্থিতিতে উথারিয়া খাল খনন প্রকল্পে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তার রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালেও তিনি ছাত্রদলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। বিশেষ করে ১৯৯০ সালের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তার সক্রিয় ভূমিকা তাকে রাজনীতিতে পরিচিতি এনে দেয়।
পেশাগত জীবনে আইন অঙ্গনে যুক্ত হয়ে তিনি কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি সামাজিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডেও তার অবদান রয়েছে।
কিশোরগঞ্জ সরকারি আদর্শ শিশু বিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক এবং করিমগঞ্জ নানশ্রী বাজার জামে মসজিদসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে করিমগঞ্জ-তাড়াইল আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ছিলেন অ্যাডভোকেট জালাল মোঃ গাউস। এরপর থেকে তিনি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ধারাবাহিকভাবে এলাকায় সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছেন। এ কারণে স্থানীয়দের কাছে তিনি নিবেদিতপ্রাণ ও তৃণমূলভিত্তিক নেতা হিসেবে আস্থা অর্জন করেছেন।
অ্যাডভোকেট জালাল মোঃ গাউস বলেন,“আমার একমাত্র লক্ষ্য জনগণের কল্যাণ করা। করিমগঞ্জ-তাড়াইলের মানুষ যদি আমাকে সুযোগ দেন, আমি উন্নয়নমূলক কাজের মাধ্যমে তাদের আস্থা ধরে রাখতে চাই, ইনশাআল্লাহ।”
স্থানীয়দের মতে, আগামী জাতীয় নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হলে করিমগঞ্জ-তাড়াইলের সাধারণ মানুষ তার পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে রায় দেবেন।