
মো: গোলাম কিবরিয়া,রাজশাহী জেলা প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার প্রেমতলী এলাকায় খেতুরীধাম গৌরাঙ্গ বাড়িতে (১০অক্টোবর) শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপি ঠাকুর নরোত্তম দাসের তিরোভাব তিথি মহোৎসব। শুভ অধিবাসের মধ্যে দিয়ে তিরোভাব তিথির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। ভক্তদের মতে, প্রেমভক্তি মহারাজ ও অহিংসার প্রতীক ঠাকুর নরোত্তম দাস। অরুণোদয় থেকে অষ্ট প্রহরব্যাপী তারক ব্রাক্ষনাম সংকীর্ত্তণ এবং দধি মঙ্গল, দ্বি-প্রহরে ভোগ আরতি ও মাহান্ত বিদায়ের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী স্মরণ মহোৎসবের শেষ হবে। আর এই উৎসব সুষ্ঠভাবে শেষ করার জন্য ব্যাপক প্রস্ততি নিয়েছে আয়োজক ও প্রশাসন।
এই মহা মহোৎসবে যোগদিতে দুই দিন আগে হতেই দেশের দূর দূরান্ত হতে ভক্তরা এসে আপন আপন থাকার জায়গা করে নিয়েছে। গোরাঙ্গবাড়ীর নির্ধারিত জায়গায় ছাড়াও রান্তার দুইপাশে বিভিন্ন পসরার দোকান সাজিয়ে জমে উঠেছে খেতুর ধামের মহোৎসব।
সকাল থেকে লক্ষ্য করা গেছে দূর হতে সতানত ধর্মাম্বলিরা বাস- মাইক্রো , ভ্যানযোগে প্রয়োজনীয় সরাঞ্জমাদি নিয়ে আসতে দেখা গেছে। সব মিলিয়ে মহোৎসব বেশ জমে উঠেছে তবে মাঝে মধ্যে আকাশ মেঘাছন্ন দেখা দেওয়াই উৎসবে কিছুটা বিরুপ পড়া সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে আর আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সেখানের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার দায়িত্বে সর্তকতা রয়েছে। তারও অনুষ্ঠানটিকে সফলতা করতে যথেষ্ঠ ভূমিকা রাখছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: জানে আলম জানিয়েছেন, এবারের উৎসবকে ঘিরে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। মহোৎসব ও উৎসবকে ঘিরে মেলা-এসব নির্বিঘ্নে করতে মাঠে থাকবেন ভ্রাম্যমাণ আদালত ও ট্রাস্ট বোর্ডের কয়েকশ নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী।
‘খেতুরীধাম ও মেলাকে ঘিরে ওই এলাকায় যে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সেখানে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। সেখানে তিন স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।
গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানান, খেতুরীধাম ও মেলাকে ঘিরে ওই এলাকায় যে কোনো অপ্রতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সেখানে জেলা পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য সার্বক্ষণিক দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন। এ ছাড়া প্রেমতলী বাজারে বসানো হয়েছে পুলিশ কন্ট্রোল রুম। সেখানে তিন স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। এছাড়াও মাঠে আছে র্যাব, গোয়েন্দা পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা। সেখানে সিসি ক্যামেরা দ্বারা সার্বক্ষণিক নজদারি করা হচ্ছে।