
আব্দুল জব্বার ঠাকুরগাঁও: আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে ঠাকুরগাঁও-২ আসনে ব্যাপক নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। যাদের বেশির ভাগই নতুন। এ আসনে নির্বাচনের দৌড়ে আছেন গণ সংহতি আন্দোলনের জাতীয় পরিষদের সদস্য ও ঠাকুরগাঁও জেলা আহবায়ক মোঃ আশফুল ইসলাম। এরই মধ্যে এ আসনে সংসদ নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। পথে-প্রান্তরে নিজেকে পরিচিত করতে নানা রকম আয়োজন করছেন। ব্যানার ও ফ্যাস্টুন সভা সেমিনারসহ মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন এমনকি নির্বাচনী এলাকায় উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন এই নেতা।
সম্ভাব্য প্রার্থী মো: আশরাফুল ইসলাম বলেন, আগামীর জাতীয় নির্বাচন আমাদের স্বপ্নের নির্বাচন হতে হবে। আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষ নির্যাতিত। সীমান্তবর্তী উপজেলা হওয়ার কারণে অনেকটা পিছিয়ে আছেন। আমি এ মানুষগুলোর নির্যাতনের অবসান করতে চাই। উন্নয়নের ছোঁয়া এ মানুষগুলো পাননি। আমি এখানে প্রকৃতপক্ষে অধিকার রক্ষার সংগ্রাম চালাতে চাই। আমি নির্বাচিত হলে অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি এ অঞ্চলের শিক্ষা-শৃঙ্খলায়নের ওপর বিশেষ কাজ করতে চাই।
এখানে তরুণ ভোটার ৮৫ হাজার ৮৭৭ এবং সংখ্যালঘু ভোটার ৪৫ হাজার ৭০০। এ আসনে প্রার্থীকে জিততে হলে তরুণ ভোটারদের কাছে টানতে হবে।
একই আসনে জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঠাকুরগাঁও জেলার সাবেক আমির আব্দুল হাকিম লড়বেন নির্বাচনের মাঠে। অভিজ্ঞ ও হেভিওয়েট প্রার্থী তিনি। ফ্যাসিস্ট শাসনামলে অধিক জনপ্রিয় থাকার কারণে জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন। জেল থেকে নির্বাচন করেছেন৷ অবশেষে ভোট বর্জনও করেন তার সমর্থকরা।
এই সম্ভাব্য প্রার্থী বলেন, আমাদের ওপর জুলুমের অবসান হয়েছে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে। এখন আমাদের দেশ ও সমাজ গোছাতে হবে। সবাইকে একতাবদ্ধ থাকতে হবে। আমি চেষ্টা করবো মানুষের প্রত্যাশা পূরণের। আগামী নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ ও প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনই এখন পর্যন্ত জনগণের চাওয়া। আমার নির্বাচনী আসনে মানুষ সর্বোচ্চ জুলুমের শিকার হয়েছে। এখানে মানুষকে অস্ত্র ও লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে দমিয়ে রাখা হতো। আমি নিজেও নির্যাতনের শিকার। তবে আমরা এখন নতুন সম্ভাবনা দেখছি। আশা করি দ্রুত আমরা একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাবো।
আগামীর জাতীয় নির্বাচন আমাদের স্বপ্নের নির্বাচন হতে হবে। আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষ নির্যাতিত। সীমান্তবর্তী উপজেলা হওয়ায় অনেকটা পিছিয়ে আছেন। আমি এ মানুষগুলোর নির্যাতনের অবসান করতে চাই।
এই আসনে বিএনপি থেকে লড়ার সম্ভাবনা রয়েছে উপজেলা বিএনপি নেতারও। এদের মধ্যে এগিয়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির সভাপতি এটিএম মাহাবুর রহমান ও ড্যাবের মহাসচিব ডা. আব্দুস সালাম।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির সভাপতি এটিএম মাহাবুর রহমান বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ের জন্য আমি আশাবাদী। সব দিক বিবেচনা করে আমিই দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী। দল যদি মনোনয়ন দেয় আমি দলের প্রত্যাশা রাখতে পারবো।
অপরদিকে গণ অধিকার পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান এ আসনে সংসদ নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন,তিনি তাঁর নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক পথে-প্রান্তরে নিজকে পরিচিতি করতে নানা রকম আয়োজন, ব্যানার ও ফ্যাস্টুন সভা সেমিনারসহ মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন এমনকি নির্বাচনী এলাকায় উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন এই নেতা।