Dhaka ০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরনাম:
”কিশোরগঞ্জ পুটিমারী ইউনিয়ন বিএনপির যৌথ প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত” ” কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে জনপ্রিয়তা পাচ্ছেন বিএনপি মনোনয়নপ্রত্যাশী অধ্যাপক ডাঃ ফেরদৌস আহমেদ চৌধুরী লাকি” “মানবজীবন পত্রিকার সম্পাদক ইমদাদুল হক তৈয়বের পিতা প্রখ্যাত আলেম আলহাজ্ব মাওলানা ফজলুল হক নুরনগরী আর নেই” ”করিমগঞ্জ-তাড়াইলের রাজনীতিতে আলোচনায় অ্যাডভোকেট জালাল মোঃ গাউস” ”সাংবাদিক জাকারিয়া আল মামুনের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে গাজীপুরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ” ”চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার” উজিরপুর’ ইউনিয়ন বাসীর মুখে”একটাই যোগ্য ব্যক্তি” সানাউল্লাহ হোক অভিভাবক”“ ” কালীগঞ্জ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কমিটি গঠন হায়দার আলী শেখ সভাপতি নুর আলম সরকার সম্পাদক“ “রাণীশংকৈল সাব রেজিস্টার অফিস দুদকের বিশেষ অভিযান “ “ পীরগঞ্জ সরকারি কলেজে ছাত্রদলের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত“ “অরুয়াইল ফুটবল টুর্নামেন্ট-২৫ এর সেমিফাইনাল অনুষ্টিত “
বিজ্ঞাপন :
জেলা-উপজেলা ও বিভাগীয় চীফ নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। সাংবাদিকতায় আগ্রহীরা দ্রুত যোগাযোগ করুন। সম্পদক-ইমদাদুল হক তৈয়ব-01711576603, সিভি পাঠান এই ইমেইলে- editor.manobjibon@gmail.com

রাজনীতির দীর্ঘ পথচলায় মো. নাজমুল আলম: সংগ্রাম, ত্যাগ ও একজন বিএনপি নিবেদিত কর্মীর নাম!!

 

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সময় ধরে রাজনীতির মাঠে সক্রিয় থাকা মো. নাজমুল আলম আজ কিশোরগঞ্জ রাজনীতিতে এক পরিচিত মুখ। ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে জেলা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এক কৌশলগত নির্বাচনী সিদ্ধান্ত তাঁকে রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে।

মো. নাজমুল আলমের রাজনৈতিক যাত্রা শুরু ১৯৮৩ সালে, যখন তিনি অষ্টম শ্রেণির ছাত্র অবস্থায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের মাধ্যমে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। এরপর ১৯৮৯ সালে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা চলাকালীন প্রথমবার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন।

১৯৯১ সালের শেষদিকে তিনি জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৯৫ সালে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এবং ১৯৯৯ সালে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এর ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালের ৫ অক্টোবর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নির্বাচিত হন এবং পরবর্তীতে ২০১০ সালে পুনরায় এ দায়িত্ব পান।

২০১১ সালে তিনি স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে অংশ নিতে গিয়ে পাঁচবার কারানির্যাতনের শিকার হন তিনি। ২০১৪ সালে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেও গভীর রাতে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে ফলাফল পরিবর্তনের অভিযোগ করেন।


২০১৬ সালে তিনি জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নিযুক্ত হন এবং পরবর্তীতে সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পান। আন্দোলন-সংগ্রামে তাঁর উপস্থিতি ছিল নিরবচ্ছিন্ন, দাবি তাঁর নিজস্ব।

২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় নির্দেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, যদিও তাঁর জয়ের সম্ভাবনা ছিল প্রবল। সর্বশেষ, ২০২৪ সালের একতরফা জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের পাশাপাশি বিএনপির আন্দোলনেও সক্রিয় ছিলেন তিনি।

তবে চলতি বছরের মে মাসে অনুষ্ঠিত প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও পারিবারিক-সামাজিক চাপের মুখে এক প্রতিপক্ষ প্রার্থীকে কৌশলগতভাবে মোকাবেলা করতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। এই সিদ্ধান্তের ফলস্বরূপ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পদে থাকা অবস্থায় তাঁকেসহ কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার প্রায় শতাধিক নেতাকর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

তাঁর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে দলীয় মহলে শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা। কেউ এটিকে কৌশলগত রাজনৈতিক চাল হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ বলছেন—দলের নীতির পরিপন্থী এক পদক্ষেপ।দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন ও ত্যাগ-তিতিক্ষার ইতিহাস থাকা সত্ত্বেও দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়া মো. নাজমুল আলম এখন রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবনায় রয়েছেন।

তবে তিনি জানিয়েছেন, দলের প্রতি তাঁর আনুগত্য আগের মতোই রয়েছে এবং দলের বৃহত্তর স্বার্থে তিনি যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

”কিশোরগঞ্জ পুটিমারী ইউনিয়ন বিএনপির যৌথ প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত”

রাজনীতির দীর্ঘ পথচলায় মো. নাজমুল আলম: সংগ্রাম, ত্যাগ ও একজন বিএনপি নিবেদিত কর্মীর নাম!!

Update Time : ১০:৫১:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সময় ধরে রাজনীতির মাঠে সক্রিয় থাকা মো. নাজমুল আলম আজ কিশোরগঞ্জ রাজনীতিতে এক পরিচিত মুখ। ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে জেলা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এক কৌশলগত নির্বাচনী সিদ্ধান্ত তাঁকে রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে।

মো. নাজমুল আলমের রাজনৈতিক যাত্রা শুরু ১৯৮৩ সালে, যখন তিনি অষ্টম শ্রেণির ছাত্র অবস্থায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের মাধ্যমে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। এরপর ১৯৮৯ সালে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা চলাকালীন প্রথমবার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন।

১৯৯১ সালের শেষদিকে তিনি জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৯৫ সালে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এবং ১৯৯৯ সালে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এর ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালের ৫ অক্টোবর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নির্বাচিত হন এবং পরবর্তীতে ২০১০ সালে পুনরায় এ দায়িত্ব পান।

২০১১ সালে তিনি স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে অংশ নিতে গিয়ে পাঁচবার কারানির্যাতনের শিকার হন তিনি। ২০১৪ সালে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেও গভীর রাতে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে ফলাফল পরিবর্তনের অভিযোগ করেন।


২০১৬ সালে তিনি জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নিযুক্ত হন এবং পরবর্তীতে সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পান। আন্দোলন-সংগ্রামে তাঁর উপস্থিতি ছিল নিরবচ্ছিন্ন, দাবি তাঁর নিজস্ব।

২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় নির্দেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, যদিও তাঁর জয়ের সম্ভাবনা ছিল প্রবল। সর্বশেষ, ২০২৪ সালের একতরফা জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের পাশাপাশি বিএনপির আন্দোলনেও সক্রিয় ছিলেন তিনি।

তবে চলতি বছরের মে মাসে অনুষ্ঠিত প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও পারিবারিক-সামাজিক চাপের মুখে এক প্রতিপক্ষ প্রার্থীকে কৌশলগতভাবে মোকাবেলা করতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। এই সিদ্ধান্তের ফলস্বরূপ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পদে থাকা অবস্থায় তাঁকেসহ কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার প্রায় শতাধিক নেতাকর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

তাঁর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে দলীয় মহলে শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা। কেউ এটিকে কৌশলগত রাজনৈতিক চাল হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ বলছেন—দলের নীতির পরিপন্থী এক পদক্ষেপ।দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন ও ত্যাগ-তিতিক্ষার ইতিহাস থাকা সত্ত্বেও দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়া মো. নাজমুল আলম এখন রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবনায় রয়েছেন।

তবে তিনি জানিয়েছেন, দলের প্রতি তাঁর আনুগত্য আগের মতোই রয়েছে এবং দলের বৃহত্তর স্বার্থে তিনি যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত।